আমার স্টার হেলথ ক্লেইম রিজেকশনের অভিজ্ঞতা – প্রতিটি পলিসিহোল্ডারের জানা উচিত

 ২০২০ সালে আমি টেলিভিশনে পলিসি বাজারের হেলথ ইন্স্যুরেন্সের বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হই। আমি পলিসি বাজারে ফোন করি হেলথ ইন্স্যুরেন্স নেওয়ার জন্য। তারা আমাকে স্টার হেলথ এর ইয়ং স্টার পলিসি নিতে বলে, যেখানে আমি, আমার স্ত্রী ও দুই সন্তান—আমরা সবাইকে একসাথে ইন্স্যুরেন্স করাই।

তারা যা যা তথ্য চেয়েছিল সব সঠিকভাবে দিয়েছিলাম।

প্রথম পলিসি ২০২০ সালে শুরু হয়। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়মতো নবীকরণ করেছি। এই সময়ে সামান্য অসুখ (সর্দি-কাশি) হয়েছে, চিকিৎসকের কাছে দেখিয়ে সেরে গিয়েছি। বড় কোনো অসুখ হয়নি। স্ত্রীকে নিয়েও কিছু রুটিন পরীক্ষা করানো হয়েছে, সব রিপোর্ট স্বাভাবিক ছিল। খরচ সব নিজের পকেট থেকে করেছি। পলিসিতে থাকা ফ্রি চেকআপও কখনো ব্যবহার করিনি।





আমাদের বর্তমান পলিসি ২৩-সেপ্টেম্বর-২০২৬ পর্যন্ত বৈধ।


ঘটনা শুরু হয় ২৯–৩০ জুন ২০২৫-এ।
প্রথমে স্ত্রীর সর্দি-কাশি হয়। ভেবেছিলাম সাধারণ অসুখ, নিজে থেকেই সেরে যাবে। কিন্তু পরে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সারা শরীরে ব্যথা, বুকে ব্যথা, বারবার বমি শুরু হয়।


আমার ভাই তাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, ভর্তি করতে হবে। স্ত্রী বলেন বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে, সমস্যা হবে। ডাক্তার বলেন, জোর করতে পারবেন না, কিন্তু ভর্তি করা দরকার।

প্রথম প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, তার BP অনেক কম। স্ত্রী দাঁড়াতে পারছিল না, চোখের সামনে অন্ধকার দেখছিল, শরীরে কোনো শক্তি ছিল না। ডাক্তার আবার বলেন ভর্তি করতে। আমি ফোনে বলি, ভর্তি করাও।

বিছানায় নেওয়ার পর তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। ডাক্তার দ্বিতীয় প্রেসক্রিপশন দেন।

রাতে ৮টার দিকে আমি অফিস থেকে হাসপাতালে যাই। স্ত্রী তখনো বারবার বমি করছিল। আমি বলি আমার হেলথ ইন্স্যুরেন্স আছে, ক্যাশলেস ক্লেইম করুন, কারণ আমার কাছে নগদ টাকা নেই। হাসপাতালে কিছু কাগজ পাঠানো হয় (ঠিক কোনগুলো জানি না)। স্টার হেলথ থেকে দুটি মেসেজ পাই—একটি ক্লেইম রিকোয়েস্ট, আরেকটি রিজেকশন

কারণ হিসেবে বলা হয়—ভর্তি প্রয়োজন ছিল না, বাড়িতে চিকিৎসা (OPD) সম্ভব ছিল।

এটি হয় ০১-জুলাই-২০২৫-এ।

আমি বারবার পলিসি বাজারে যোগাযোগ করি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মনে হল আমার এজেন্ট আমাকে সাহায্য না করে স্টার হেলথকে সাহায্য করছে। শুধু বলা হল—রিইম্বার্সমেন্টে পেতে পারেন।

পলিসি বাজারের রাহুল নামে একজন বলেন—BP রিপোর্টে “ওভাররাইট” আছে, তাই ক্যাশলেস ক্লেইম হবে না। আমি বলি, ইমেলে পাঠান, হাসপাতালে জিজ্ঞেস করব—কিন্তু আজও কোনো ইমেল পাইনি।

আমার কাছে কল রেকর্ডিং ও ইমেলের কপি আছে, যা আমি ধীরে ধীরে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছি।

0 Comments